ইসলামী অর্থনীতিতে সঞ্চয়
ইসলাম মানুষকে কথাবার্তা, হাঁটা-চলায় মধ্যম পন্থার নির্দেশ দিয়েছে। পাশাপাশি ব্যয়ের ক্ষেত্রেও মধ্যপন্থা অবলম্বনের প্রতি গুরুত্বারোপ করেছে। উপার্জন-চিন্তায় ইবাদত বাদ দেওয়া যেমন নিষিদ্ধ, তেমনি নামাজ সমাপনান্তে উপার্জন-চিন্তা বাদ দিয়ে মসজিদে বসে থাকাও নিষিদ্ধ। সম্পদ খরচের ক্ষেত্রে কৃপণ হওয়া যেমন নিষিদ্ধ, তেমনি প্রাচুর্যের সময় অপচয়-অপব্যয় করে সম্পদ খরচ করাও নিষিদ্ধ।

ক্রমবর্ধমান এসব খরচের জোগান দিতে আনুষ্ঠানিকতায় তাল মেলাতে কালো টাকার পেছনে দৌড়ানো, চোরা পথ আবিষ্কার করাও যেন দোষের নয়! পক্ষান্তরে যিনি হালাল-হারাম, পাপ-পুণ্য, প্রয়োজন-অপ্রয়োজন বিবেচনা করে খরচ করেন এবং অপব্যয় ও অপচয় থেকে বিরত থাকেন, তাঁকে মনে করা হয় ‘কৃপণ’। আসলে স্ত্রী, সন্তানসন্ততির ভরণপোষণ, পিতা-মাতার সব চাহিদা পূরণের মতো আল্লাহ নির্দেশিত খাতে খরচ করতে অবহেলা করাই কৃপণতা। তাই হালাল-হারামের বিধিনিষেধ মেনে খরচকে সীমাবদ্ধ করে দিতে হবে। প্রাচুর্যের সময় খরচের উৎসবে মেতে না উঠে হারাম খরচ সম্পূর্ণ বাদ দিয়ে মিতব্যয়িতার পথ অবলম্বন করে উদ্বৃত্ত অর্থ ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয় করা উচিত।